
চিঠি সংকলন @Oindrila
খোলা চিঠি /১
প্রিয়বরেষু বাঙালী বাবু ,
………….আমি জানি তুই নিজেকে যা দেখাতে চাস….তা তুই নস ।….তোর শব্দের আদি ও অন্তে আছে এক কুটিল বৈমাত্রেয় ছোঁয়া ….. । তুই বাইরে থেকে যতটাই প্রগলভ…..অন্তরে তুই ততটাই একা….তোর আত্ম কথন তোর যতটা অহংকার ততটাই অলংকার ….তবু তুই উচ্ছ্বল প্রবাহের মাঝে নির্জন এক প্রবালদ্বীপ…. । আজন্ম বহমানতার মাঝে আছে তোর কৌলীন্যর আভিজাত্য…….. ।
…..আমি সত্যিই জানিনা আমি তোকে কতটা বুঝি…তবু কেন জানি না তোকে পড়তে ইচ্ছে হয় নতুন করে….বারেবারে…. । আমার এই আশা কতটা মিটবে তা অজানা তবু তোকে দিলাম আজ একটা খামহীন খোলা চিঠি….আকাশের ঠিকানায়…. ।
…….জানিস আমার দখিনের জানলার পাশের নিমগাছটায় একটা ফিঙে এসে রোজ বসে দোল খায়…..বিকেলের চুরি যাওয়া ফিকে আলোয় দুটো কাঠবেড়ালী গাছের ডালে ডালে ছোটাছুটি করে…. । ধরতে গেলে পালিয়ে যায় ।…. আমি জানি …. তুইও ঠিক এমন করেই বিবাগী মনটাকে নিয়ে পালিয়ে বেড়াস বন্ধন মুক্তির আশায়….. । আর প্রেমের ঔদার্য্যও তো সেখানেই…..ভালোবাসি বলে সাপের মাথার মণি করে রাখার মধ্যে কোনো উদারতাই নেই বোধ করি ।
” পথ বেঁধে দিল বন্ধনহীন গ্রন্হি/ আমরা দুজন চলতি হাওয়ার পন্থী”
……………..ইতি তোর পাগলী ।
খোলা চিঠি/২
প্রিয়বরেষু বাঙালী বাবু,
………আমার আগের চিঠিটা হঠাৎ করে শেষ করে দিয়েছিলাম ….তার একটা কারণ ছিল ছিল বই কি।….লিখতে লিখতে মনে হচ্ছিল এ চিঠির আদৌ কি কোনো গুরুত্ব আছে ?….তুই বল সত্যিই কি এর কোনো জবাব আশা করা যায়?….যায় না… বোধ হয়।
তোর চোখে এ চিঠি পড়বেই না হয়ত…..তারপর ভাবলাম আমি এক অতি সাধারণ বঙ্গনারী….যে কিনা তার খেয়াল বসে ছাইপাঁশ লিখে চলেছে তার এক বঙ্গবন্ধুর উদ্দেশ্যে …..এর মধ্যে নাই বা থাকল কোনো সুবৃহৎ চারুকল্প…তবু দুটো মনের কথা তো কইলাম….নচেত আমার মনের আজগুবি কথাগুলো তো মনের মধ্যেই তোলপাড় করে আর মনেই গোর দিয়ে দি ।
…….জানিস রাজপুত্তুর…..আমার পোষা দুধমুখী বিল্লিরাণীর এবার তিনটে ছানা হয়েছে….
ছানা তিনটেই হুলো মস্তান….সবাই বলছে তিনটেই এ পাড়ার খলনায়ক হবে….কিন্তু জানিস ওদের অনুসন্ধিৎসার বহর দেখে, আমি নাম রেখেছি গোগোল , ফেলু আর টেনি… । আমার বিশ্বাস ওরা মনুষ্য জন্ম পেলে জাত গোয়েন্দাই হত ।
…….কাল গোটা রাত বৃষ্টি হয়েছে….আমার জানলার কার্ণিশ থেকে টুপটাপ জলের ফোঁটা ঝরেছে ….আর ঐ তামসী রাতে আমি ডুব দিয়েছি তোর খেয়ালে….তোর শব্দে, নৈশব্দে, বসনে, ভূষণে ….কবিতা লেখায় বা না লেখায় আমি তো নিজেকেই খুঁজেছি আর হারিয়েছি ….তবু তুই অধরাই থাক….পরিযায়ী পাখির মত…তোকে পোষ মানাতে চাই না….পাছে তুই ফুরিয়ে যাস….পুরোনো হয়ে যাস!!!! তার চেয়ে এই ভালো তুই দূরে থাক ….ভালো থাক!!!!…আমি আর আমার একলা মন ও থাকুক তোর অজানা… ।
” সেই ভালো সেই ভালো আমারে না হয় না জানো….”,
……………………..
খোলাচিঠি/৩
প্রিয়বরেষু বাঙালী বাবু,
…….জানি তোর মত ব্যস্ত মানুষের কাছে এসব আবেগের কোনো স্হান নেই…..আমার চিঠির পর চিঠিও তোর ধ্যানভঙ্গ করতে পারে না…..একি যে সে ধ্যান!!!…এ যে বিরূপাক্ষের সাধনা!!!..যার ভালে আছে অমন জ্বলন্ত চন্দ্রমৌলী , জটাজালে নিবদ্ধ চঞ্চলা গঙ্গা, উদরে অনল ….তবু সেই ত্রিশূলরাজের অটুট সাধনা…..বিশ্বসংসারের স্থিতিকল্পে…। তোর এই দীর্ঘ নীরবতাও বোধকরি এই মর্মেই বিরাজিত। …….তবু রাতের ঘন ঘন জৃম্ভন শেষেও ঘুম অধরাই থাকে….চোখের সামনে যে ছবি ভেসে ওঠে তা যে তোরই প্রতিবিম্বের প্রতিফলন ।
…..জানিস ভালো ছেলে আজ ভেবেছিলুম তোর সাথে দেখা করার একটা উদ্যোগ নি….তারপর ভাবলুম থাক….অভিমানটা জমছে জমুক….যতই ঘন সে হোক না কেন তোর দুটো কথাই তো তার গাঢ়ত্ব ফিকে করে দিতে পারে । আর সত্যি বলতে চোখের দূরত্ব যদি মনের দূরত্ব হত , তবে বোধকরি চিঠিলেখার গুরুত্ব এ বিশ্বসংসারে অচল হয়ে পড়ত।
…….নিম্নচাপের বৃষ্টি টা বড় বেশি মনখারাপ করে দিচ্ছে এ কদিন……আমার জানলার বাইরে রম্বসের মতো উজিয়ে থাকা একফালি মেঘলা আকাশটা আজ যেন বিরহের অজুহাতে নিজের ঔদার্যকে আড়াল করে রেখেছে……..আমি এটুকু বুঝি জোর করে আর যাই হোক ভালোবাসা হয়না….তবে ভালোবাসার দীর্ঘসূত্রতা কি কখনও কোনো অধিকারের মুখাপেক্ষী থাকে? আসলে সম্পর্কের গভীরতায় থাকতে হয় পরস্পরের শ্রদ্ধা….যা কোনোদিন কোনোকিছুর বিনিময়ে ম্লান হতে দেয় না ভালোবাসার পরিপূর্ণতাকে… । ভালোবাসার ঘড়া চির উপচিয়মান ই থাকে….তলানিতে এসে ঠেকে না…মিথ্যে চাওয়ায় ভালোবাসার অভিনয় করা যায়না রে….ভালোবাসি না…বাসি না করেও প্রেম হয়ে যায়…..এমনি করেই আমার কেতকি ফুলের গাছটা আজকাল ফুলে ফুলে সাদা হয়ে আছে কিন্তু তবুও যে তা পুজোর অযোগ্য এক অবাঞ্ছিত পুষ্পরাজি ।…..ভালো থাকিস ভালো ছেলে….তুই ভালো আছিস জানলে মন জুড়িয়ে যায় প্রকারান্তরে পুড়েও যাই তোর অবহেলায়….. ।
“কেটেছে একেলা বিরহেরও বেলা আকাশ কুসুম চয়নে…..”
………………..ইতি তোর পাগলী।
খোলাচিঠি / ৪
বন্ধুবরেষু বঙ্গবাবু,
…………আজ আমি তোর বাঙালী বাবু নামটাকে একটু আপন করে নিলাম ‘বঙ্গ ‘ নামের আড়ালে….. । এ চিঠির খসড়া আজ আমার এক যাত্রাপথে লেখা । জানিস, আজ তোর কর্মস্হলকে পিছনে ফেলে আমার গাড়ী এগিয়ে চলল টিপ টিপ বৃষ্টির মধ্যে । গঙ্গাকে সাক্ষী রেখে আমি আজ নিজের কাছে নিজে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ ছিলাম ….সংযত ছিলাম…. তোর ব্যস্ততায় কোনো ছেদরেখা টানবো না….তাই লালবাতির নিষেধ যখন বারে বারে আমার মনকে উতলা করে দিচ্ছিল তখনও কিন্তু আমার মগজে হাতুড়ি পিটছিল তোর কিছু সত্য সম্ভাষণ….. ।
………ঝিরিঝিরি বৃষ্টিতে সেতুর এপার ওপার গঙ্গার মোহময় বিস্তার …..জলের ছাঁটে গাড়ীর ঝাপসা কাঁচে কিছু মুহুর্তের কোলাজ ……সবকিছু আমাকে আজ বড় বিষন্ন করে দিচ্ছিল ….মাঝে মাঝে মনের সাথে সাথে চোখও ঝাপসা হয়ে উঠছিল….একথা খুব সত্যি রে রাজাবাবু তোর কাছে অনেক কিছু শেখার আছে …..নিজেকে ডুবতে না দিয়ে ভাসিয়ে রাখার এমন আজব কায়দা সবাই রপ্ত করতে পারে নাক……জীবনের অপরিসীম বিষাদ তোকে এমন সংসারের প্রতি উদাসীন থাকতে শিখিয়েছে তা আমি বুঝি…..আমি এও বুঝি তোর দৈনন্দিন জীবনযাপনে আমার কোনো অস্তিত্বই নেই….তবুও তোকে ভালোবাসার মতো মুর্খামি আমাকে বারেবারে সমৃদ্ধ করেছে…..বাইরে জোলো হাওয়া বইছে এলোমেলো ….আর সেই হাওয়া যেন, তোর নামের অনুরণনে আমার ভেতরে যে তূঁষের আগুন ধিকিধিকি জ্বলছে ,তাকে উষ্কে দিচ্ছে …. ।
…….তোকে একটা কথা বলি , সর্বজ্ঞ বিশ্বামিত্র…..আমি যেমন উর্বশী অপ্সরা নই তেমনি সাধিকা মীরাবাঈও নই….তাই আমার আবেগকে এত কুর্নিশের কি প্রয়োজন বল….আমি অতি সাধারণ এক নারী যে ভালোবাসতেই জানে না বোধহয়….নচেত প্রেম এমন একটি বিষয় যেখানে এত শব্দই বেমানান…..আর আমি এত বোঝানো ,কেন যে বোঝার মত চাপিয়ে যাচ্ছি তোর ওপর কে জানে…..তাহলেই বোঝ আমি এই বিষয়ে কতটা অজ্ঞ ।….
…..আমি শুধু তোর ইচ্ছে টাকে সম্মান জানাতে পারি মাত্র….আর পারি তোর ইচ্ছেয় নিজেকে ভাঙতে …কিন্তু এই টুকুতো আর ভালোবাসার পরিমাপ হতে পারে না তাই না? …..কি বলিস….? ভালো থাকিস ঋষিরাজ…. ।
‘আজি ঝরো ঝরো মুখর বাদল দিনে …..জানি নে , জানি নে ..কিছুতে কেন মন লাগে না….’
…………….ইতি তোর পাগলী ।
খোলাচিঠি/ ৫
বং বাবু সমীপেষু,
……………আজ এই বৃষ্টির দিনে চল তোর সাথে একটু সময় কাটাই……তুই বলছিস সকাল এখন সবে, কারণ বিগত রাতের সুর তো এখনও তোর চোখে মায়াঞ্জনের মতো লেগে আছে …..আচ্ছা বল তো এত ভালোবাসা তুই কার জন্য তুলে রেখেছিস…..কোন সে কাজল কালো চোখ যার রূপসাগরে ডুব দিয়ে তুই পেতে চাস জীবনের আস্বাদন । আমার মাঝে মাঝে মনে হয় তুই সেই গোকুলের রাখাল রাজার চেয়ে কোনো অংশে কম নস । তাঁর মতো তোরও সখী সংখ্যা উত্তরোত্তর বেড়েই চলেছে । কিন্তু তুই যে কি খুঁজে চলেছিস ,তা কেবল তুইই জানিস । সে তোর একান্ত ব্যক্তিগত……যাক সে কথা ।
…….জানিস আমার গোগোল সোনাটা কার বাড়ির হাঁড়ি খেয়েছে কে জানে…..গলায় মাটির কানাটা আটকে গোটা পাড়াময় নির্লজ্জের মতো ল্যাজ উঁচিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে , যেন কন্ঠি নিয়ে বোষ্টম হয়েছে । ছি ছি কি অধঃপতন !!! যাকে গোয়েন্দা হবে ভেবে এমন নাম দিলাম সে হয়ে উঠল চোর ॥সাধে কি বলে বেড়াল…..আড়াই পা যেতে না যেতেই সব ভুলে বসে । অবশ্য শুধু ওই বা কেন কত মানুষই তো চিতচোর হয়ে উঠেছে এ যাবৎকাল! যেমন তুই ডাকাতের মতো হরণ করেছিস আমার মন….আর আমিও কথা কইব না বলে সরে থাকতে চেয়েও আড়াই পা যেতে না যেতেই হাল ছেড়ে দিয়ে সব রাগের জলাঞ্জলি দিয়ে বসি….. ।
………বৃষ্টিটা আর ভালোলাগছে না…….মনের মেঘ যে কাটছে না…..রান্নায় একেবারে মন নেই….রাঁধুনী ছুটিতে…অগত্যা আজ চালে ডালে বসিয়েছি….মন বলছে তোকে খাওয়াতে পারলে বেশ হত…..এ যে তোর অতি পছন্দের খাবার…..কবে যে তোর দেখা পাব? তোর মনপাখিটা পথ ভুলে কবে আমার ডেরায় আসবে তা স্বয়ং তুইও জানিস না । আজ এই পর্যন্তই থাক……ভালো থাকিস…..ভুলে থাকিস!!!!
‘মাঝে মাঝে তব দেখা পাই, চিরদিন কেন পাই না…..
কেন মেঘ আসে হৃদয় গগনে তোমারে দেখিতে দেয় না…’
…………………………
খোলাচিঠি/ ৬
বন্ধুবরেষু বঙ্গবাবু ,
তুই সত্যিই আমার খাসা বন্ধু। বন্ধুত্বের কিছু দাবী নিঃসন্দেহে থাকে, আর সেই দাবীতে তুই দূরত্ব চেয়েছিস আমার কাছে……। ‘মেরেছ কলসীর কানা তাই বলে কি প্রেম দেব না?’…হ্যাঁ রে অর্বাচীন তোকে প্রেমও দেব আবার তোর কাঙ্খিত দূরত্বও দেব । থাক সে কথা । আজ অনেকদিন যাবৎ তোর সাথে বাক্য বিনিময় প্রায় হয় না বললেই চলে, তাই বলে অবশ্য তোর মনের গতি বিধি আমার একেবারে অজানা নয়…। তোর ভাবনার নিথর সায়রে কবে আমার নামের জলোচ্ছ্বাস হবে বা আদৌ হবে কিনা তা নিয়ে ভাবনা ছেড়েই দিয়েছি…কারন সুখের জন্য হাত পাতলে যা দিতে চাস তা তো আগুন…আর আগুন তো সর্বগ্রাসী …মন না জুড়োলেও পুড়তে তো বাধ্য… কিন্তু কেন বলত ভালবাসায় মন পেতে বারে বারে শরীরের নিরিখে অগ্নিপরীক্ষার প্রশ্ন আসবে? …আর সত্যি কথা বলতে সুখ হল মরীচিকা…। প্রতিসৃত আলোক রশ্মির পুর্ণপ্রতিফলন…যাকে ছোঁয়াই যায় না…। প্রতিবিম্বে তো বারমহলের রূপই ধরা পড়বে , অন্দরমহল থাকবে সেই অধরাই …তাই না ? তবে এটুকু বলি নবাব সাহেব তোর সুখের বন্ধু তো অনেক আছে …কিন্তু আমি তো সুখ চাই নি তোর কাছে…অবসর যাপনে তোর মধ্যে যে দুঃখের উন্মেষ হয় সেই রূপরেখার অংশীদারই আমি হতে চেয়েছিলাম মাত্র…তবে একথা ঠিক তুই খুশি থাকলে আমার প্রয়োজন যে পড়বে না এও স্বাভাবিক…। তাই নিয়ে আমার কোনও অভিযোগই নেই…কারন আমি কোনও বিকল্পতার আশ্রয়ে তোর দেওয়া দুখটুকুকেও ভুলে থাকতে চাই না…তা যে কেবলই আমার ……আর ঐ দুখের মাঝেই তো আমার মধ্যে তোর বসতবাটি!!!!
‘যদি পার দুঃখ দাও , আমি দুঃখ পেতে ভালবাসি
ভালবাসি ফুলে কাঁটা, ভুলে মনস্তাপ
তুমি সুখ নিয়ে থাকো , সুখে থাকো……’
…………হেমন্তের অবসাদ পেরিয়ে, শীতের রুক্ষতা যে তোকে আরও দূরে সরিয়ে নিয়ে যাবে …এও আমার অজানা নয়…তোর পরিযায়ী পাখির জীবনে তোর সঙ্গিনীরা কিন্তু কোনোভাবেই আমার প্রতিপক্ষ নয় রে, গুরু গোঁসাই…তোর ভাললাগার মরশুমি ফুলেরা আমারও অতি আপনজন…কারন তুই যে তাদের মাঝে স্বচ্ছন্দ…তোর কেতকি , জুঁই , পলাশ , মাধবীলতা বা হাসনুহানার সুগন্ধে আমিও যেন কোথাও এক আত্মিক টান অনুভব করি জানিস…। এইটুকু না পারলে আমি আর কি বোষ্টমী হলাম বল…? তবে কি জানিস বাঁধা না পড়তে চাইলে , কাউকে বাঁধা যায়ও না……। তাই তোর এই আজন্ম কাঙ্গালপনায় তোর আবেগের খনি চির ভরপুর রয়েছে বোধকরি…। তোকে এতটুকু বলি তোর নামের আড়ালে যে উষ্ণতা …তা আজও আমাকে হিমশীতল হতে দেই নি…তাই তোর কাছে কিছু না হলেও যে সখ্যতা পেয়েছি তার বিনিময়ে একটা গোটা আস্ত জীবন আমি ফুরিয়ে দিতেই পারি তোর জন্যে। ……শুধু দিনান্তে, অতি সাধনার পর যখন ঘুমের আলতো পরশ পাই…তখনই কে যেন কানে কানে আমার নাম ধরে ডাকে আর বলে ওঠে…… ‘কেমন আছো তুমি? ভাল আছো তো? তখনই …হ্যাঁ হ্যাঁ ঠিক তখনই ……”আমার মন কেমন করে…আমার মন কেমন করে……কি জানি কিসের তরে …আমার মন কেমন করে……”
……………………………………………...ইতি তোর পাগলী।
______________________________________________________________________________________