পর্ব – ৬
জৈষ্ঠ্যের দুপুরে ঠা ঠা রোদে সবাই যখন ঘর বন্দী, রাংতা তখন একাডেমীর সামনে মহুলের অপেক্ষায় অপেক্ষায় অস্থির বিষুবরেখা । “ দুপুর দুটোয় একাডেমীর সামনে থাকব, চলে আসিস দেখা হবে ।”…মুঠোফোনের এই কটা শব্দে এখন পুড়ছে তার শরীর মন……
–কিরে কি দেখছিস অমন করে? মিনিট পনেরো দেরি হয়ে গেল রে…
-হুম তাই তো দেখছি…গ্রীষ্মের এই তীব্র দহনে গোটা কোলকাতা শহর যেখানে পুড়ছে, তুই সেখানে কত নিরুত্তাপ!
-কি যে বলিস…দেখা না করলেও তো বলবি কোনও তাপ উত্তাপ নেই আমার মধ্যে…
-তুই যেন দিনকে দিন কেমন হয়ে যাচ্ছিস মহুল!…দুপুর রোদে বাড়ি থেকে বেরোতে কত মিথ্যে বলতে হয় জানিস কি? কত কত অগ্নিপরীক্ষার সম্মুখীন হতে হয়…সবই সয়ে যায় শধু তোকে ভালবাসি বলে…অথচ আমার কপালটা দেখ…সব অর্থহীন…তোর চোখে এর মূল্য এক কানাকড়িও না।
-কি করি বলতো রাংতা , তোর কারনে ভাবার জন্য একটা গোটা আস্ত পরিবার আছে …আমার তো কেবল তুই-ই আছিস!!! তাই তো তোকে আমার ভালোবাসার ভাবনায় ডুবিয়ে রাখতে ইচ্ছে করে।
-এই বুঝি তোর ভালোবাসার নমুনা? তা এইভাবে কি শুধু হেঁটেই যাব?
-না না চল…নন্দনের পাশটায় গিয়ে বসি।সময়টাকে একটু আটকে রাখার চেষ্টা করি!!
-আচ্ছা মহুল সত্যি বল …ভালোবাসা কথাটার কতটুকুই বা ওজন?আছে তো ভারি চারটে ব্যাঞ্জনবর্ণ …আর তার আগে পিছে খান তিনেক আকার আর একটা ওকার…তবু যেন একমণ ভার করে রাখে মনটাকে……এক চিলতে খুশির ফাঁকে অনেকটা মনখারাপ জুড়ে খালি অপেক্ষাই অপেক্ষা!!!
-এই তো বেশ বুঝেছিস…ভালবাসলেই সব জিনিস হাতের মুঠোবন্দী করা যায় কি? পারি কি সময়ের হাত টেনে ধরে রাখতে?
-তুই আর কি বুঝবি মহুল…আজ বাদে কাল হয়ত আমার বিয়ের সানাই বেজে যাবে…সব ছেড়ে চলে যেতে হবে …অথচ এর অন্যথা হবে এমন কোনও আশ্বাসও তো পাই না তোর কাছ থেকে।
-নিশ্চিত আজ কোথাও ঝড় উঠবে রাংতা…চারপাশটা কি থম থম করছে …আর তাই বুঝি মেঘেদের ঘেরাও চলছে তোর মনে…ওরে পাগলী , আমি তো ছিলাম, আছি , থাকবও…ঠিক তোর মনের মাঝে…তোর পাশটাতে ছায়ার মত…সে তুই যতদূরেই যা…আর যার সাথেই যা…
-বাহ … কি অবলীলায় বলে দিলি কথাগুলো …খালি খালি মন পড়ানো মিষ্টি মিষ্টি কথা!!
-ওরে আমি যে ছন্নছাড়া এক বাউল …আমার নিজের কোনও কিছুর স্থিরতা আছে কি বল? তোকে সঙ্গে নি কেমন করে…
-কিন্তু আগে যে বলতিস আমিই নাকি তোর স্বপ্নের রাজকন্যে, হন্যে হয়ে ঘুরিস যার জন্যে? রাখ না আমাকে তোর মাঝে কোথাও লুকিয়ে !!
-হ্যাঁ রে হ্যাঁ , তুই-ই তো আমার সেই অহঙ্কারী চাঁদ, কিন্তু আমি যে রাজ ভিখারী রাংতা… তোর জ্যোৎস্নাটাকে লুকিয়ে রাখব কোথায় ?
-উফফফ মহুল …আচ্ছা থাক, নিতে হবে না আমায়… আমি সাত সমুদ্র দূরে চলে গেলে তখন খুঁজে পাবি না কিন্তু আমায় …এই বলে রাখলুম…যতই তখন আদরের জন্য হাত পেতে বসে থাকিস না কেন…কেউ দেবে না এসে চাতকের গলায় একবিন্দু জল…
-সে দেখা যাবে ক্ষনি…। তবে আমি ভেবে রেখেছি তুই বিয়েটা কর… তারপর আমি তোরই সাথে পরকীয়া করব…।
-যাহ তুই একেবারে যা তা…
-কেন রে যে দেশে যাবি সেখানে তো সবই আইনসিদ্ধ…
-তুই সত্যিই যেতে দিবি আমায় ?
-কি জানি…তোর বাবার সামনে কবে গিয়ে দাঁড়াতে পারব তা জানি না…কবে যে কুরুক্ষেত্রের প্রস্তুতি নেব তাও বুঝি না…দেখা যাক সময় কি বলে…তুই আমি তো নিমিত্ত মাত্র…সবই তো মহাকাল…
-আচ্ছা?? বেশ তবে তাই হোক …আমাদের প্রেমটাকে তবে উৎসর্গ করলাম মহাকালের জন্য। কাল থেকে শুধুই দুরত্ব আর দুরত্ব…আর কোনও ছোঁয়াছুঁয়ি খেলা নয় কিন্তু…?
-তুই থাকতে পারবি তো…ভেবে দেখ এখনও সময় আছে!!
-আমি তো পারব… মহুল…দেখি তুই কতবড়ো সাধক বাউল!!
-তুই যেন দিনকে দিন কেমন হয়ে যাচ্ছিস মহুল!…দুপুর রোদে বাড়ি থেকে বেরোতে কত মিথ্যে বলতে হয় জানিস কি? কত কত অগ্নিপরীক্ষার সম্মুখীন হতে হয়…সবই সয়ে যায় শধু তোকে ভালবাসি বলে…অথচ আমার কপালটা দেখ…সব অর্থহীন…তোর চোখে এর মূল্য এক কানাকড়িও না।
-কি করি বলতো রাংতা , তোর কারনে ভাবার জন্য একটা গোটা আস্ত পরিবার আছে …আমার তো কেবল তুই-ই আছিস!!! তাই তো তোকে আমার ভালোবাসার ভাবনায় ডুবিয়ে রাখতে ইচ্ছে করে।
-এই বুঝি তোর ভালোবাসার নমুনা? তা এইভাবে কি শুধু হেঁটেই যাব?
-না না চল…নন্দনের পাশটায় গিয়ে বসি।সময়টাকে একটু আটকে রাখার চেষ্টা করি!!
-আচ্ছা মহুল সত্যি বল …ভালোবাসা কথাটার কতটুকুই বা ওজন?আছে তো ভারি চারটে ব্যাঞ্জনবর্ণ …আর তার আগে পিছে খান তিনেক আকার আর একটা ওকার…তবু যেন একমণ ভার করে রাখে মনটাকে……এক চিলতে খুশির ফাঁকে অনেকটা মনখারাপ জুড়ে খালি অপেক্ষাই অপেক্ষা!!!
-এই তো বেশ বুঝেছিস…ভালবাসলেই সব জিনিস হাতের মুঠোবন্দী করা যায় কি? পারি কি সময়ের হাত টেনে ধরে রাখতে?
-তুই আর কি বুঝবি মহুল…আজ বাদে কাল হয়ত আমার বিয়ের সানাই বেজে যাবে…সব ছেড়ে চলে যেতে হবে …অথচ এর অন্যথা হবে এমন কোনও আশ্বাসও তো পাই না তোর কাছ থেকে।
-নিশ্চিত আজ কোথাও ঝড় উঠবে রাংতা…চারপাশটা কি থম থম করছে …আর তাই বুঝি মেঘেদের ঘেরাও চলছে তোর মনে…ওরে পাগলী , আমি তো ছিলাম, আছি , থাকবও…ঠিক তোর মনের মাঝে…তোর পাশটাতে ছায়ার মত…সে তুই যতদূরেই যা…আর যার সাথেই যা…
-বাহ … কি অবলীলায় বলে দিলি কথাগুলো …খালি খালি মন পড়ানো মিষ্টি মিষ্টি কথা!!
-ওরে আমি যে ছন্নছাড়া এক বাউল …আমার নিজের কোনও কিছুর স্থিরতা আছে কি বল? তোকে সঙ্গে নি কেমন করে…
-কিন্তু আগে যে বলতিস আমিই নাকি তোর স্বপ্নের রাজকন্যে, হন্যে হয়ে ঘুরিস যার জন্যে? রাখ না আমাকে তোর মাঝে কোথাও লুকিয়ে !!
-হ্যাঁ রে হ্যাঁ , তুই-ই তো আমার সেই অহঙ্কারী চাঁদ, কিন্তু আমি যে রাজ ভিখারী রাংতা… তোর জ্যোৎস্নাটাকে লুকিয়ে রাখব কোথায় ?
-উফফফ মহুল …আচ্ছা থাক, নিতে হবে না আমায়… আমি সাত সমুদ্র দূরে চলে গেলে তখন খুঁজে পাবি না কিন্তু আমায় …এই বলে রাখলুম…যতই তখন আদরের জন্য হাত পেতে বসে থাকিস না কেন…কেউ দেবে না এসে চাতকের গলায় একবিন্দু জল…
-সে দেখা যাবে ক্ষনি…। তবে আমি ভেবে রেখেছি তুই বিয়েটা কর… তারপর আমি তোরই সাথে পরকীয়া করব…।
-যাহ তুই একেবারে যা তা…
-কেন রে যে দেশে যাবি সেখানে তো সবই আইনসিদ্ধ…
-তুই সত্যিই যেতে দিবি আমায় ?
-কি জানি…তোর বাবার সামনে কবে গিয়ে দাঁড়াতে পারব তা জানি না…কবে যে কুরুক্ষেত্রের প্রস্তুতি নেব তাও বুঝি না…দেখা যাক সময় কি বলে…তুই আমি তো নিমিত্ত মাত্র…সবই তো মহাকাল…
-আচ্ছা?? বেশ তবে তাই হোক …আমাদের প্রেমটাকে তবে উৎসর্গ করলাম মহাকালের জন্য। কাল থেকে শুধুই দুরত্ব আর দুরত্ব…আর কোনও ছোঁয়াছুঁয়ি খেলা নয় কিন্তু…?
-তুই থাকতে পারবি তো…ভেবে দেখ এখনও সময় আছে!!
-আমি তো পারব… মহুল…দেখি তুই কতবড়ো সাধক বাউল!!
……………………………………………………………………………………………………………………ক্রমশ