মুখবন্ধঃ
কোলকাতার বুকে রোজ রোজ জন্ম নেয় কত স্বপ্ন , কত রং , কত কথা । দিনে রাতে চুরি যায় কত শত মন , বয়ে যায় কত লাজুক সময়, গড়ে ওঠে কত গোপন ভালোবাসা । সেই ভালোবাসার কিছু পরিণতি পায় আবার কিছু পায় না……তাই বলে তো ভালবাসাবাসিটা আর মিথ্যে হয়ে যায় না…। সেইসব ভালোবাসারই কিছু নাটকীয় সংলাপ আর প্রলাপে জন্ম হয় একটি গল্প কবিতার। যার মূল ভাবনা…..
“পায়ে পায়ে দু এক কদম
সঙ্গে চলি তোর
মনে মনে আসঙ্গ
করব জীবন ভর।”
মহুল আর রাংতার মাঝে ঠিক কতটা প্রেম ছিল জানা নেই…তবে সমান দূরত্বের একটা তরঙ্গ দৈর্ঘ্য ছিল।…..মহুল যদি হয় বুনো ওল , রাংতা তবে বাঘা তেঁতুল।
পর্ব – ১.
রাংতা আর মহুল অবসর যাপনে এসেছে ভিক্টরিয়ায়…সেখানে কত শত জুটি ঘুরে বেড়াচ্ছে হাত ধরা ধরি করে…ককটেল কালচারে ভরে গেছে এখনকার যুব সমাজ…আজ নাকি প্রমিস ডে…।
-মহুল, আজ কথা দেওয়ার দিন।
-কথা রাখা হয় না বলেই এমন দিন ।
-কে বলেছে?
-আমি বলছি ,মহুল বৈরাগী । প্রেম নক্ষত্র জাত , হাসি রাশি , তুঙ্গ লগ্ন, গোলমেলে গণ।
-আমি ঠাট্টা করছি না।
-ঠাট্টা নয় রাংতা! নারী স্বাধীনতা এখনো আসেনি বলেই, নারী দিবস পালিত হয় !
-ঠিক ,তাই বলে কথা দিয়ে কথা না রাখা হলে সে কথার মূল্য কোথায় ?
-তাই তো ,কথা শুধু আজকের জন্যই , কাল যে তা মূল্যহীন।
-আচ্ছা….আজকে তাহলে সময় কাটানোর কথা আমিও ফিরিয়ে নেব।
-কথা ফিরিয়ে নিলে আমি নিশ্চিত এজন্মেই তুমি ডাকিনী বা যোগিনী হবে কন্যা।
-আমার ভাল্লাগছে না মহুল।
-আমার কথায় রাগ হল ?
-তুই তো আমায় কোনো কথাই দিস নি ,যদি আমায় ভুলে যাস?
-কে বলতে পারে রাংতা, তুইই হয়ত আমায় ভুলতে চাইলি কোনোদিন….
-হতেই পারে না।…আমি তোর মত ভেসে বেড়াই না।
আমি কি বানভাসি?
-হ্যাঁ তো, জল দেখেছিস কি ডুবেছিস।
-ঠিক করে বল সব্বনাশী, ডুবেছি না ভেসেছি?
-কি বললি, আমি তোর কি সর্বনাশ করেছি শুনি ???
-আচ্ছা বাবা …ভুল হয়েছে ! কথা দিলাম রাংতা, থাকব , যতদিন তুই থাকতে দিবি।
-না না মহুল , কথা দিস না।….কথা দিলেই যদি কথা হারিয়ে যায়॥
………………………………………………………………..