এখন ভেবে আর কি লাভ বলো!
অলক্ষ্মীরও যে একটা মন ছিল
একটা স্বপ্ন ছিল….
বিপ্লব ছিল….
ছিল একটা গোপন প্রেমের আঁচ,
সে কি আর মানলে তোমরা!!
সবাই মিলে তার বুকের আগুনে
জল ঢেলে ,
লক্ষ্মীর আগমনে উল্লাস করলে,
বিদেয় দিলে তাকে…
চাপা দিলে মনের আগুন।
মুছে ফেললে অলক্ষ্মীর পায়ের ছাপ
আগামীর পাঁচালী থেকে।
আসলে কি জানো?
তোমরা যাকে লক্ষ্মী বলো,
জীবন বলে জল….
সমাজ ভাবে নদী
নদী মানেই নারী,
পোষাকি কৃতদাসী!!!
তোমার সুরে যে মেলাবে সুর,
যে পাত্রেই রাখবে
ধারণ করবে তার আধার!
কিন্তু সেই জলের গভীরে
ধিকি ধিকি তুষের আগুন দেখলে
সত্যি বলো পোড়ার ভয় পাও না?
চমকে ওঠে না তোমাদের পৌরুষ?
সমাজ যা বলে বলুক…
তোমরা হাত বাড়াও না
তার ছাই চাপা আগুনে?
চোরাচোখে দেখো না তার লাস্য?
নিজের বুকে হাত রেখে প্রশ্ন করো দেখি,
মিথ্যে লক্ষ্মীমন্তের নেশায় আর
অসম্ভবের জ্বালায় তাকেই তো ভাবো ,
নষ্টমনা , সব্বনাশী….অলক্ষ্মী !!!