দিন দিন কেমন স্থবির হয়ে যাচ্ছে সব
বিবেক বুদ্ধিগুলোতে জঙ ধরে যাচ্ছে কি?
মাথার মধ্যে এক অসহ্য যন্ত্রণা বুঝিয়ে দিচ্ছে ,
শব্দেরা বিক্ষোভে ফেটে পড়তে চাইছে
অনুভূতির প্রলম্বিত যানজটে….
তীব্র আস্ফালনে জেহাদ জানাচ্ছে মন ও আত্মা !
ভাবনার সহজাত নদীপথ হারাচ্ছে তার নাব্যতা,
ঘনীভূত হচ্ছে বেয়াড়া পলিস্তর।
তবু তোমার দিকে অপলকে চাইলে
মনের তটে আজও খেলে বিদ্যুৎ…
সহ্যশক্তিরা মানে বশ্যতা,
কুন্ডলিনী জেগে ওঠে শরীরের ঋদ্ধ গুহায়!
মনিপুরা চক্রে বইতে থাকে শান্ত স্রোতস্বিনী।
আমার সমস্ত দীনতার গ্লানি সমাহিত হয় তোমার মাঝে!
বদ্ধ পাঁজরের খাঁচার সামনে দাঁড়িয়ে
কে যেন বলে ওঠে ‘ শান্তি শান্তি শান্তি ওম্’।
আর আমি অস্ফুটে বলি,
তুমি আমার সর্বস্ব নাও গোঁসাই
শুধু ‘আমার আমিকে’ আরও একবার
ফিরিয়ে দাও ঠিক আগের মত!!!!
কবিতা লিখব বলে…..
দুঃখ পেতে ভালবাসি
কবিতা লিখব বলেই…..
জীবনের শুরু থেকে
দুঃখগুলোকে জমাতে থাকি,
শুধু কবিতা লিখব বলেই….
তোমাকে বলি, যদি প্রেম দিতে না পারো,
তবে আরও আরও দুঃখ দাও
সেই দুঃখের পরিপাকে
জন্ম নেয় বর্ণ… জন্ম নেয়,
এক একটি শব্দ…
জন্ম নেয় পঙক্তি…
তারপর সেই পঙক্তি সাজিয়ে সাজিয়ে,
একটা গো্টা , আস্ত কবিতা
যাতে আছে সেন্টিমেন্টের তাজা ভুরভুরে গন্ধ …
কাগজী লেবুর চিকন সবুজ বিষণ্ণতা …
মিঠেকড়া ঝাপসা কিছু স্মৃতি…
ভালোবাসা আর না বাসার এক চিমটে দ্বন্দ্ব
আর…একটু নোনতা চোখের জল।