
।। দ্য কাফে টেবল প্রকাশিত।।
‘গল্প নিছক গল্প নয়, উদাহরণ জীবনের পটে !’
উজান বোস, জলঢাকা হাইডেল পাওয়ার প্রোজেক্টের কাজ নিয়ে কলকাতা থেকে নিউ জলপাইগুড়ি হয়ে পৌঁছায় ডুয়ার্সে l ভারত-ভুটান সীমান্তে অবস্থিত বিন্দুর নিকটবর্তী গহীনবাড়ি কটেজে তার থাকার বন্দোবস্ত করে কোম্পানি। কটেজের মালিক মালদার অতীন সেন। বর্তমানে যদিও আঞ্চলিক পাহাড়ি মানুষজনকে সঙ্গে নিয়ে গহীনবাড়ির সব কাজ দেখাশোনা করে অতীন সেনের ভাইঝি মোহনা সেন। কলেজ জীবন থেকেই তার পাহাড়ি উপজাতিদের নিয়ে কাজকর্মের নেশা। গহীনবাড়িতে মোহনা সেন আর তার মেয়ে কুশির সঙ্গে কাজের অবসরে বেশ ক’টা দিন ঘুরে-ফিরে কেটে যায় উজানের। পাহাড়ি উপজাতিদের গ্রাম, তাদের জীবন, কাজকর্ম দেখতে দেখতে অদ্ভুত এক মায়ায় জড়িয়ে যেতে থাকে কাজপাগল উজান। ইচ্ছে জাগে এই মেঘ-পাহাড়ের দেশে এক নতুন জীবন শুরু করার। এক দিকে কলকাতার শহুরে জীবনে তার অপেক্ষায় থাকা মখমলি বিনোদন আর অন্য দিকে এক পাহাড়ি পাথুরে জীবনের অধ্যবসায়— এই দুইয়ের মাঝে গহীনবাড়ি যেন এক নিখাদ শান্তির আশ্রয়। তবু এক পড়ন্ত বিকেলের ফিকে আলোয়— বিন্দুর মোহময় পাহাড়ি পথে গহীনবাড়ির জীবনকে উদ্দেশ্য করে সে বলেছিল—
‘তুমি ভাবছ, তুমি মাপছ সময়
সময় জানে, সময় মাপছে তোমায় l’
কিন্তু তারপর চলতে চলতে পথের বাঁকে কী ঘটল তার জীবনে? জঙ্গল, পাহাড়, মেঘ, নদী, ঝরনা, গিরিখাত এসবের উপচীয়মান জীবনে সে খুঁজতে চাইল ভালোবাসার বন্ধন নাকি ভালোবাসা থেকে মুক্তি?
সবকিছুর প্রশ্নের উত্তর নিয়ে আসছে ঐন্দ্রিলা মুখোপাধ্যায়ের উপন্যাস— গহীনবাড়ি।
প্রচ্ছদ: একতা ক্রিয়েটিভ টেলস্।